নিজেকে ফিট রাখতে অনেকেই নিয়মিত ওয়ার্কআউট করেন। তবে সঠিক পদ্ধতি না জানলে লাভের বদলে হিতে বিপরীত হতে পারে। আপনি যেভাবে শরীরচর্চা করেন, তা কি একদমই নির্ভুল?
কিভাবে করছেন এবং কোন সময় শরীরচর্চা করছেন, তা কিন্তু এক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আপনার শরীরচর্চার সময় ও পদ্ধতির ওপরই দেহের হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রিত হয়।
এমনটাই জানালেন বলিউড অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়ার ফিটনেস ট্রেনার সিদ্ধার্থ সিংহ।
ভালো থাকার জন্য নিত্য শরীরচর্চা প্রয়োজন। কিন্তু নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়ামের ধরন, ভুল পদ্ধতি ও সময় এক্ষেত্রে শরীরে হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। সিদ্ধার্থ সিংহ সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামের একটি ভিডিওতে তিনটি বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন।
এমন উপায়ে শরীরচর্চা করলে ভয়ের কিছু থাকবে না। কী সেসব উপায়ে, চলুন জেনে নেওয়া যাক—
খালি পেটে কার্ডিও
শরীরের চর্বি দ্রুত কমাবার আশায় অনেকেই খালি পেটে কার্ডিও করে থাকেন। কিন্তু অতিরিক্ত ও দীর্ঘ সময়ের ব্যায়ামে পেশি ক্ষয়, দুর্বলতা ও মাথা ঘোরার ঝুঁকি থাকে। শুধু তাই নয়, দেহে কার্টিসল হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায় খালি পেটে কার্ডিও করলে।
ফলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়।
অত্যধিক শরীরচর্চা
বেশি শরীরচর্চা করলে দেহে হরমোনের পরিবর্তন হয়। অতিরিক্ত ভারী ব্যায়ামের ফলে স্ট্রেস হরমোনের (কর্টিসল) মাত্রা বাড়ে। এর ফলে পেশি ক্ষয় হতে পারে। পাশাপাশি নারীদের মাসিক চক্র এবং প্রজনন হরমোনের ভারসাম্যেও বিঘ্ন ঘটে।
অধিক রাতে শরীরচর্চা
সময়ের অভাবে অনেকেই রাতে জিমে যান। অধিক রাতে শরীরচর্চা করলে শরীরের তাপমাত্রা ও হৃৎস্পন্দন বেড়ে যায়। ফলে ঘুমের হরমোন (মেলাটোনিন) উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি হয়। এতে ঘুমের প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়।
পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়ায় স্ট্রেস হরমোনের (কর্টিসল) ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে। সিদ্ধার্থ সিংহের মতে, রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে শরীরচর্চা শেষ করা উচিত।