শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
Logo

দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হওয়া এড়াতে যা করণীয়

Journalist Name

উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৫পিএম

দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হওয়া এড়াতে যা করণীয়

দই বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার। দুপুরের খাওয়া, নানা ধরনের সাইড ডিশ হোক, বা ভাতের পর এক বাটি দই নানা রকমভাবে খাবারে যুক্ত করা হয়। তবে দই শুধু স্বাদের জন্যই নয়, এতে থাকা ‘ভালো ব্যাকটেরিয়া’ বা প্রোবায়োটিকের কারণে স্বাস্থ্যরক্ষায় বিশেষ উপকারী।

দইয়ের স্বাস্থ্যগুণ

হজমে সহায়তা: প্রোবায়োটিক ও ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: প্রোটিন বেশি, ক্যালোরি কম, পেট দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা: প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে শক্তিশালী করে।

ত্বকের যতœ: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোলাজেন তৈরি বাড়ায়, বয়সের ছাপ কমায়।

হাড় ও দাঁতের স্বাস্থ্য: ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও অন্যান্য মিনারেল হাড় শক্ত করে।

প্রোবায়োটিক কেন মারা যায়?

প্রোবায়োটিক খুবই সংবেদনশীল। তাপমাত্রা, আর্দ্রতা ও অ্যাসিডের মাত্রা প্রোবায়োটিকের বেঁচে থাকার ওপর নির্ভর করে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ল্যাকটোবেসিলি ৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপ সহ্য করতে পারে না। তাই দই জমার পর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজে রাখা জরুরি।

দই সংরক্ষণের সঠিক নিয়ম

জমার সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজে রাখুন। পরিষ্কার ও এয়ারটাইট কন্টেইনার ব্যবহার করুন। ভেজা চামচ ব্যবহার করবেন না। ফ্রিজের মাঝের তাকেই রাখুন, দরজায় নয়। ২–৩ দিনের মধ্যে দই খেয়ে ফেলুন।

সাধারণ ভুল যা প্রোবায়োটিক নষ্ট করে:

১। ঢাকনা ছাড়া রাখা।

২। গরম করা।

৩। দীর্ঘ সময় বাইরে রাখা।

দই রাখার উপযুক্ত কন্টেইনার:

মাটির হাঁড়ি: স্বাদ ও প্রোবায়োটিক বজায় রাখে, স্বাভাবিকভাবে ঠাণ্ডা রাখে।

প্লাস্টিক কন্টেইনার: সুবিধাজনক, তবে তাপমাত্রা সমান থাকে না।

গ্লাস/স্টিল: স্বাস্থ্যকর, ফ্রিজে দীর্ঘমেয়াদে রাখার জন্য উপযুক্ত।

বাড়িতে দই বানানোর টিপস:

দুধ হালকা গরম করুন (ফোটাবেন না)। এক চামচ টক দই মেশান। উষ্ণ জায়গায় ৬-৮ ঘণ্টা রাখুন। জমার পর সঙ্গে সঙ্গে ফ্রিজে রাখুন। এভাবে দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক বাঁচে, অতিরিক্ত ফারমেন্টেশন হয় না এবং পাওয়া যায় টাটকা, স্বাস্থ্যসমৃদ্ধ দই।