শীতকাল প্রায় এসে গেছে। সূর্যের তাপ দিন দিন কমে আসছে। এই সময়ে অনেককে ভিটামিন ডি-এর জন্য রোদ পোহাতে দেখা যায়। দিনের কোন সময়ে সূর্যের আলো গায়ে মাখবেন এবং রোদ পোহালে কী কী উপকার পাওয়া যায়, তা জানুন আজকের প্রতিবেদনে।
ভিটামিন ডি শুধু হাড়ের জন্য নয়, বরং বার্ধক্য ধীর করতেও সাহায্য করতে পারে। নতুন এক গবেষণায় এমনটাই দাবি করেছেন মার্কিন বিজ্ঞানীরা। এ বিষয়ে চিকিৎসকরা জানান, শীতকালে সূর্যের আলোয় রোদ পোহালে শরীরের শিথিলতা দূর হয়। এর থেকে কাজের জন্য শক্তি পাওয়া যায়।
কারণ ভিটামিন ডি গ্রহণের জন্য এটি সবচেয়ে ভালো মাধ্যম।
রোদে বসতে না জানার কারণে মানুষ যত ঘণ্টা বসে থাকুক না কেন, তাদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর হয় না। সেজন্য সঠিক উপায় জানা খুবই জরুরি। পাশাপাশি, আপনি শীত বা গ্রীষ্ম, যখনই রোদে বসুন না কেন, একটি জিনিস মনে রাখতে হবে যে আপনার চোখ ও মুখকে রোদ থেকে রক্ষা করতে হবে।
কারণ বেশিক্ষণ রোদে বসে থাকলে চোখের সমস্যা হতে পারে এবং গায়ের রংও খারাপ হতে পারে।
শীতে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সূর্যে বসার সঠিক সময়। কারণ এই সময় সূর্যের নীল রশ্মি থাকে, যা সরাসরি আপনার শরীরে প্রভাব ফেলে এবং ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার এটাই সঠিক সময়। যদিও আপনি কত ঘণ্টা রোদে বসে থাকবেন তা নির্দিষ্ট নয়।
অনেকেই সোয়েটার, জ্যাকেট এমনকি মাথা পুরোপুরি ঢেকে রাখেন।
এটি আপনাকে কেবল সূর্যের তাপমাত্রা থেকে স্বস্তি দেবে। তবে ভিটামিন ডি-এর অভাব মেটাতে এই পদ্ধতি সঠিক নয়।
আপনি যদি সূর্যের রশ্মি আপনার শরীরে শক্তি জোগাতে চান, ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি দূর করতে এবং আপনার হাড়কে মজবুত করতে চান, তবে এর জন্য আপনাকে ছোট পোশাক পরে রোদে বসতে হবে। ছোট জামাকাপড় পরে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা রোদে বসে থাকলে অবশ্যই সুস্থ থাকবেন এবং হাড় মজবুত থাকবে।
শরীর থেকে ভিটামিন-ডি-এর অভাব দূর করতে সূর্যালোক গ্রহণের পাশাপাশি শীতকালে প্রতিদিন ফলমূল, সবুজ শাক-সবজি, পনির ও দুধ খান, তাহলে ভিটামিন-ডি পেতেও সাহায্য করবে।
এ ছাড়া যারা নন-ভেজ খান তারা মাছ খেতে পারেন। কারণ এটি তাদের শরীর থেকে ভিটামিন ডি-এর অভাবও দূর করবে।