আবহাওয়া পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি বাড়ে। সেক্ষেত্রে স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া উচিত। শীতকালে তাপমাত্রা উঠানামার ফলে অসুস্থ হচ্ছে বহু মানুষ। ঘরে ঘরে জ্বর-সর্দি-কাশি লেগেই থাকছে।
এ ছাড়া এই সময় ঠাণ্ডা হাওয়া ছাড়াও বাতাসে কিছু কণা নিঃসৃত হয়, যা গলা ও নাকে প্রবেশ করে এবং এর ফলে জ্বর ও অ্যালার্জি হয়।
চোখ চুলকানি, নাক দিয়ে পানি পড়া, সাইনাস, ডার্ক সার্কেল, ক্লান্তি, সর্দি, কাশি, জ্বরের মতো নানা সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমানে ঘরে ঘরে মানুষ জ্বর- সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগছেন। এ সময়ে জ্বর হলে কিছু খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হয়।
তা না হলে পরিস্থিতি আরো গুরুতর হতে পারে। চলুন, তাহলে জেনে নেওয়া যাক কী সেই খাবারগুলো।
পনির
পনিরে হিস্টামিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পাওয়া যায়। যা অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে ইমিউন সিস্টেম দ্বারা শরীরে নির্গত হয়। হিস্টামিন নিঃসৃত হলে তা শরীরে ফুলে ও ঠাণ্ডা হতে পারে। পনিরের সঙ্গে অনেক খাবারে হিস্টামিন পাওয়া যায়, তাই এ জাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন, যা এর প্রভাব কমাতে পারে। দুগ্ধজাত দ্রব্য বেশিরভাগ দুগ্ধজাত দ্রব্য শরীরে শ্লেষ্মা বাড়ায়। তাই যে কোনো অ্যালার্জিতে আরো খারাপ হতে পারে। বিশে
পনিরে হিস্টামিন নামক এক ধরনের রাসায়নিক পাওয়া যায়। যা অ্যালার্জেনের সংস্পর্শে এলে ইমিউন সিস্টেম দ্বারা শরীরে নির্গত হয়।
হিস্টামিন নিঃসৃত হলে তা শরীরে ফুলে ও ঠাণ্ডা হতে পারে। পনিরের সঙ্গে অনেক খাবারে হিস্টামিন পাওয়া যায়, তাই এ জাতীয় খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন, যা এর প্রভাব কমাতে পারে।
দুগ্ধজাত দ্রব্য
বেশিরভাগ দুগ্ধজাত দ্রব্য শরীরে শ্লেষ্মা বাড়ায়। তাই যে কোনো অ্যালার্জিতে আরো খারাপ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শস্যের সঙ্গে পনির ও দুধের মতো দুগ্ধজাত খাবার নাকে শ্লেষ্মা বাড়ায়, যা ব্লকেজ সৃষ্টি করে। তাই গরুর দুধের পরিবর্তে চায়ে বাদাম বা ওটস মিল্ক যোগ করুন। তবে নারকেলের দুধ খাওয়া দূরে থাকা উচিত।
অ্যালকোহল
অ্যালকোহলে হিস্টামিন থাকে। যা জ্বরের সময় চোখের চুলকানি বাড়ায় এবং গন্ধের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। এ উপাদানটি জ্বরের লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই এগুলো খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। প্রকৃতপক্ষে অ্যালকোহল পান করলে লিভারের ওপর চাপ বাড়তে পারে। যার কারণে লিভারের পক্ষে শরীর থেকে হিস্টামিন পরিষ্কার করা কঠিন হয়ে পড়ে এবং লক্ষণগুলো থেকে যায়।
মিষ্টি
চিনি ও প্রক্রিয়াজাত খাবার শরীরে হিস্টামিন তৈরি করে। এটি খড় জ্বরের লক্ষণগুলোকে আরো বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিন বা বন্ধ করুন।
কিছু ফল ও সবজি
জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তিদেরও হজমের সমস্যা ও খাবারের অ্যালার্জি থাকতে পারে। অ্যালার্জির কারণে একজন ব্যক্তি তাজা ফল খাওয়ার পরে গলায় চুলকানি, কানে চুলকানি, জিভ বা ঠোঁট ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যা অনুভব করতে পারে। তাই টক জাতীয় ফল খাওয়া এড়িয়ে চলুন।