উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৩:২০ এএম

বাজারে নানা ধরনের প্রসাধনী পাওয়া গেলেও এখন অনেকেই ত্বকের যত্নে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তেমনই একটি পরিচিত ও সহজলভ্য উপাদান হল হলুদ। বিশেষ করে কাঁচা হলুদের ব্যবহার দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে। কারণ গুঁড়া হলুদের সঙ্গে ভেজাল মেশানো থাকার সম্ভাবনা বেশি, ফলে কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া যায় না।
বরং কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক ও নিরাপদ, তাই এটি ত্বকের যত্নে বেশি কার্যকর।
কেন কাঁচা হলুদ উপকারী?
কাঁচা হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন, যা একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। এটি ত্বক থেকে ব্রণ, দাগছোপ, বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
ত্বকের যত্নে কাঁচা হলুদ কিভাবে ব্যবহার করবেন?
ফেসপ্যাক
এক টুকরো কাঁচা হলুদ খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। এতে ১ চামচ চন্দনের গুঁড়া (বা বাটা), ১ চামচ মধু ও ১ চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে একটি ঘন প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন, তারপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক হবে মসৃণ ও ঝলমলে।
ক্লিনজার
ব্রণ বা দাগছোপ কমাতে কাঁচা হলুদের ক্লিনজার ব্যবহার করুন। এক চামচ কাঁচা হলুদের পেস্টে মেশান সামান্য বেসন ও কাঁচা দুধ। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে হালকা করে স্ক্রাব করুন। ৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে।
টোনার
এক ইঞ্চি কাঁচা হলুদ বেটে নিন। এক গ্লাস গরম পানিতে এই কাঁচা হলুদ, ১ চামচ অ্যালোভেরা জেল, ২ চামচ গোলাপ জল ও ১ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি একটি স্প্রে বোতলে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। প্রতিদিন মুখ ধোয়ার পর এই টোনার স্প্রে করুন, ১৫ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। ফ্রিজে রেখে এই টোনার ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যাবে। কাঁচা হলুদ ত্বকে ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন, যাতে কোনও অ্যালার্জির সমস্যা না হয়। নিয়মিত ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবেই ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল হবে।
সূত্র: এই সময়