বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫
Logo
logo

আমি মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশিদিন বাঁচতে চাই : তিন্নি


উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ প্রকাশিত:  ০৮ অক্টোবর, ২০২৫, ১০:৪৪ এএম

আমি মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশিদিন বাঁচতে চাই : তিন্নি

অভিনেত্রী শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নি থাকেন এখন কানাডায়। কন্যা ওয়ারিশাকে নিয়ে সেখানে এখন বসবাস করছেন তিন্নি। অভিনয়ে না থাকলেও সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয় তিনি। 

শুক্রবার (৩ অক্টোবর) বিকালে তিন্নি তার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করেন।

তাতে দেখা যায়, কন্যার গালে চুমু খাচ্ছেন তিন্নি। ছবিটির ক্যাপশনে লেখেন, ‘আমি কখনো ডাক্তার দেখাইনি এই ভেবে যে, সম্ভবত আমার কোনো বড় অসুখ হইছে। কিন্তু এবার আমি নিজেই ডাক্তারের অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়েছি। কারণ আমি জানতে চাই—আমি সুস্থ আছি না কি নাই।

পরের ঘটনা বর্ণনা করে তিন্নি লেখেন, ‘আমি আজ ডাক্তারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি চমৎকার একজন মানুষ। আমাকে অনেকগুলো পরীক্ষা দিয়েছেন এবং সেগুলো করিয়েছি। আমার টেস্টের রিপোর্ট যাতে ভালো আসে, এজন্য আমি সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। 

আমি আমার মেয়েদের সঙ্গে আরো বেশিদিন বাঁচতে চাই। আমি এতটুকুই চাইলাম তোমাদের থেকে।’ 

তিন্নি আরো লিখেছেন, ‘মানবজনম বড়ই মধুর, যদি হও মানুষ’—এটা কারো কথা বা কোট না, এটা আমার কথাৃ। আর আমার দাদুর কথা হলো, ‘মানুষ আপন, টাকা পর, যত পারিস মানুষ ধর।

’ শুভ হোক মানব জন্মের।” 

২০০৬ সালে অভিনেতা আদনান ফারুক হিল্লোলকে বিয়ে করেন তিন্নি। এ সংসারে জন্ম নেয় কন্যা ওয়ারিশা। ২০১২ সালে বিচ্ছেদ হয় এই দম্পতির। এরপর হিল্লোল বিয়ে করেন নওশীনকে। ২০১৪ সালে আদনান হুদা সাদকে বিয়ে করেন তিন্নি। এ সংসারে আরিশা নামে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০১৭ সালে তিন্নির এ সংসারও ভেঙে যায়।   

তিন্নি ২০০২ সালে আনন্দধারা ফটোজেনিক প্রতিযোগিতায় পঞ্চম রানার আপ নির্বাচিত হন। তারপর মডেলিংয়ের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। ২০০৪ সালে মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী নির্মিত ধারাবাহিক ‘৬৯’ নাটকের মাধ্যমে অভিনয় ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরপর অসংখ্য জনপ্রিয় টেলিভিশন নাটক দর্শকদের উপহার দেন এই অভিনেত্রী। ‘ডুবসাঁতার’, ‘মেড ইন বাংলাদেশ’, ‘সে আমার মন কেড়েছে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিন্নি।

তিন্নি একসময় শাকিব খানের সঙ্গে মূলধারার বাণিজ্যিক সিনেমায়ও অভিনয় করেন। ২০১২ সালে মুক্তি পায় ‘সে আমার মন কেড়েছে’ শিরোনামের সিনেমাটি। এরপর ঢালিউডে তাঁর গ্রহণযোগ্যতাও তৈরি হয়। কিন্তু তিনি নিজেকে ছিটকে গেছেন ব্যক্তিগত জীবনের কারণে।