রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫
Logo
logo

পিনাট বাটার কতটুকু স্বাস্থ্যকর?


উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ প্রকাশিত:  ০৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৩৫ এএম

পিনাট বাটার কতটুকু স্বাস্থ্যকর?

অনেকেই কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ঘি বা মাখন খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন। তার পরিবর্তে এখন অনেকেই পাউরুটিতে মাখিয়ে খান পিনাট বাটার। চলুন, জেনে নিই চিনাবাদাম থেকে তৈরি এই মাখনটি আদৌ কতটা স্বাস্থ্যকর।

হার্ট সুস্থ রাখে

মাখনের মতো পিনাট বাটার কোলেস্টেরল বাড়ায় না।

বরং এটি রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এতে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে হৃদযন্ত্রকে সুরক্ষা দেয়।

পেশি ও চোখের যত্নে

পিনাট বাটারে থাকা ভিটামিন ই পেশির স্বাস্থ্য ভালো রাখে এবং স্নায়ুকে শিথিল করতে সাহায্য করে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং চোখের জন্যও উপকারী।

ভিটামিন ই-এর অভাবে দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে পারে, তাই চোখের যত্নে নিয়মিত অল্প পরিমাণে পিনাট বাটার খাওয়া ভালো।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক

ডায়াবেটিক রোগীরা সাধারণত ঘি বা দুধের মাখন এড়িয়ে চলেন। কিন্তু পিনাট বাটারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না। ফলে ডায়াবেটিক রোগীরা রুটি বা ফলের সঙ্গে অল্প পরিমাণে এটি খেতে পারেন।

ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

মাখন খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে, কিন্তু পিনাট বাটারে সেই ভয় তুলনামূলক কম। এতে প্রোটিন, ফাইবার ও স্বাস্থ্যকর চর্বি (হেলদি ফ্যাট) রয়েছে, যা পেট ভরিয়ে রাখে এবং অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমায়। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।

দিনে কতটা খাবেন?

অতিরিক্ত কিছুই ভালো নয়, পিনাট বাটারও তার ব্যতিক্রম নয়। দিনে এক বা দুই চামচের বেশি না খাওয়াই শ্রেয়।

এটি আপেল বা কলার মতো ফলের সঙ্গে কিংবা ওটস ও স্মুদির সঙ্গে খেতে পারেন।