উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:২১ এএম

আমলকী হলো একটি ভেষজ ফল, যা ভিটামিন ‘সি’, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট (পলিফেনল, ট্যানিন, এলাজিটানিন) এবং ফাইবারে ভরপুর। যা প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং খাবার গ্রহণের পর রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বেড়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে। সেই সঙ্গে আমলকী শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে রক্তে বন্ধনহীন গ্লুকোজ হ্রাস করতে ভূমিকা পালন করে।
এটি আপনার শরীরের নানা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। যেমন— চুলের স্বাস্থ্য উন্নত করা ও হজমশক্তির উন্নতি ঘটানো এবং ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। আর খালি পেটে বা অতিরিক্ত পরিমাণে আমলকী খেলে অ্যাসিডিটি হতে পারে। তবে প্রতিদিন খালি পেটে সামান্য পরিমাণ আমলকীর রসের সঙ্গে পানি মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। এটি সকালে খালি পেটে কাঁচা আমলকী খাওয়া উপকারী। তাই সতর্ক থাকা উচিত।
আমলকীর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স মাত্র ১৫, যা এটিকে একটি ডায়াবেটিস-বান্ধব ফল বলা যেতে পারে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়ায় না। যদিও এটি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হলেও কোনো ওষুধের বিকল্প নয়। এটি খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ধীরে ধীরে উপকার পাওয়া যায়, তাৎক্ষণিকভাবে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ কমে যায় না।
আর আমলকীতে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েড এবং পলিফেনল ইনসুলিনের কার্যকারিতা বা সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীর গ্লুকোজকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে। সেই সঙ্গে আপনার শরীরের বিপাক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে, যা রক্তের বাড়তি শর্করাকে শরীরে জমতে বাধা দেয়।
আমলকীর গুঁড়া পানির সঙ্গে মিশিয়ে বা খাবারের সঙ্গে যোগ করে খাওয়া যায়। আর শুকনো আমলকীর টুকরো পানিতে ফুটিয়ে এবং স্বাদ বাড়াতে দারুচিনির মতো ডায়াবেটিস-বান্ধব ভেষজ মিশিয়ে আমলকীর চা পান করা যেতে পারে।