উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ প্রকাশিত: ০৮ নভেম্বর, ২০২৫, ০১:৫৮ এএম

হজম সমস্যা, গ্যাস, এসিডিটি, এমনকি ওজন কমানোর চিন্তা—সব সমস্যার একটি সহজ সমাধান লুকিয়ে আছে এই মসলায়। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা থেকে আধুনিক গবেষণা—সব ক্ষেত্রেই এই ছোট কিন্তু গুণে পরিপূর্ণ বীজটির ব্যবহার বহু পুরনো। মসলাটিকে আমরা সেলারি বীজ বা জোয়ান নামে চিনি। এ ছাড়া আরো নানা সমস্যা সমাধানে সাহায্য করে এই মসলা।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
হজমশক্তি বাড়াতে সহায়ক : জোয়ানের বীজে থাকা থাইমল নামক যৌগ হজমরস নিঃসরণে সহায়তা করে। এর ফলে খাবার সহজে ভাঙে এবং হজম হয়। বদহজম, পেট ফাঁপা বা গ্যাসের মতো সমস্যা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম দিতে পারে সেলারি পানি বা এটি দ্বারা তৈরি করা চা।
এসিডিটি ও বুকজ্বালার সমাধান : জোয়ানের ক্ষারীয় বৈশিষ্ট্য পাকস্থলির অতিরিক্ত এসিডকে নিরপেক্ষ করতে সাহায্য করে, এসিড রিফ্লাক্স ও বুক জ্বালার মতো সমস্যার থেকে মুক্তি দেয়।
খাবারের পরে এক চিমটি জোয়ান চিবিয়ে খাওয়া অত্যন্ত কার্যকর।
শ্বাসকষ্ট ও কাশি : জোয়ান প্রাকৃতিকভাবে কাশি, হাঁপানি ও ব্রঙ্কাইটিস উপশমে কাজ করে। জোয়ান মিশ্রিত গরম পানি পান করলে অথবা বাষ্প গ্রহণ করলে কফ নেমে আসে।
ওজন কমাতে: জোয়ানের বীজ বিপাকহার বাড়াতে পারে।
এটি শরীরের চর্বি ঝরাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে খালি পেটে জোয়ানের পানি পান করলে ওজন হ্রাসের প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়।
পিরিয়ডের ব্যথা : এই বীজে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ব্যথা উপশম করে এবং রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। ফলে পিরিয়ডের সময় পেটের খিঁচুনি কমে আসে অনেক।
সংক্রমণ প্রতিরোধ : অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য থাকায় জোয়ান ছোটখাটো সংক্রমণ প্রতিরোধে দারুণ কাজ করে।
থাইমল যৌগ ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার রোধ করে শরীরকে সংক্রমণমুক্ত রাখে।
দাঁতের ব্যথা ও মুখের দুর্গন্ধ : জোয়ানের অ্যান্টিসেপটিক ও অসাড়কারী গুণ দাঁতের ব্যথা কমায় এবং মুখের জীবাণু ধ্বংস করে। জোয়ান চিবিয়ে খেলে নিঃশ্বাস থাকে সতেজ।
ত্বকের সমস্যা : ব্রণ, চুলকানি বা ত্বকের হালকা জ্বালাভাব দূর করতে জোয়ানের বীজ পিষে লাগানো যায়। এটি ত্বকে প্রদাহ কমায় এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনে।
কিভাবে ব্যবহার করবেন
এক গ্লাস গরম পানিতে আধ চামচ জোয়ানের বীজ ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খান। খাবারের পর এক চিমটি চিবিয়ে খেতে পারেন। শ্বাসকষ্টে জোয়ান মিশ্রিত পানির ভাপ নিন।
তবে, গর্ভবতী নারী বা উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তরা সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
সূত্র: আজতক বাংলা