শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
Logo
logo

৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও ঝিমুনি, কোনো গোপন রোগ নয়তো?


উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ প্রকাশিত:  ০৭ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:০১ এএম

৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও ঝিমুনি, কোনো গোপন রোগ নয়তো?

আধুনিক জীবনযাপনে বিভিন্ন অভ্যাসের কারণে আমাদের বড় একটি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে অনিদ্রা। ঠিকমতো ঘুম না হলে শরীরে অনেক ধরনের রোগ বাসা বাঁধতে পারে। রাতে ভালো ও গভীর ঘুমের অভাবে সারা দিন কাজে এনার্জি পাওয়া যায় না। এককথায় সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘুমের বিকল্প নেই।

কিন্তু অনেক সময়ে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর পরও সারা দিন ঝিমুনি আসে। সে ক্ষেত্রে শরীর বিশেষ কিছু রোগ বাসা বাঁধলে অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। কী সেসব রোগ, জেনে নিন—

ডায়াবেটিস: রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি হাইপারসোমনিয়ার কারণ হতে পারে। ডায়াবেটিসের কারণে শরীর গ্লুকোজকে শক্তিতে রূপান্তর করতে পারে না।

ফলে ক্লান্তি ও অনিদ্রার সমস্যা দেখা দেয়। ঘন ঘন তৃষ্ণা, প্রস্রাব ও ওজন কমে যাওয়াও এর লক্ষণ হতে পারে।

থাইরয়েড: হাইপোথাইরয়েডিজমে থাইরয়েড গ্রন্থি প্রভাবিত হয়। এটি বিপাকেও প্রভাব ফেলে।

সঙ্গে অলসতা, ক্লান্তি ও অতিরিক্ত ঘুমের সমস্যা বাড়ায়। যার লক্ষণ হতে পারে ওজন বৃদ্ধি, ঠাণ্ডা লাগা ও চুল পড়া। 

রক্তাল্পতা: হিমোগ্লোবিনের অভাব হলে রক্তাল্পতা দেখা দেয়। যা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়। এর ফলে ক্লান্তি ও অনিদ্রার সমস্যা হতে পারে।

আয়রন, ভিটামিন বি১২ বা ফলিক এসিডের অভাবের কারণেও এই সমস্যা দেখা দিতে পারে।

স্লিপ অ্যাপনিয়া: স্লিপ অ্যাপনিয়া হলো এমন একটি অবস্থা, যেখানে ঘুমের সময় বারবার শ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। সেইসঙ্গে গভীর ঘুমেও বাধা দেয়। এর কারণে দিনের বেলায় ঝিমুনি, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা ও মনোযোগের অভাবের মতো লক্ষণ দেখা যায়।

অ্যালকোহলের প্রভাব : অতিরিক্ত অ্যালকোহল পান করলে ঘুমের ওপর প্রভাব পড়ে। এর ফলে দিনের বেলায় বারবার ঘুমিয়ে পড়ার সমস্যা হতে পারে।

সূত্র: আজকাল