বর্তমান বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ মাইগ্রেনজনিত মাথাব্যাথায় ভোগেন। এটি এমন এক ধরনের ব্যাথা যা মাঝারি থেকে তীব্র হতে পারে। সাধারণত ডান বা বাম পাশে হয়ে সম্পুর্ণ মাথায় ছড়িয়ে পড়ে। ২০-৩০ বছর বয়সে এই রোগ শুরু হয়। এ নিয়ে চেন্নাইয়ের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা: ‘শীলা নাগুসা’ বলেছেন, এটি এমন এক তীব্র ‘মাথাব্যথা' যা লক্ষ লক্ষ মানুষের স্নায়বিক রোগকে দুর্বল করে তোলে যা দৈনন্দিন জীবনকে ব্যাহত করে, মানসিক শক্তি হ্রাস করে এমনকি ব্যথা কমার পরেও দীর্ঘ সময় ধরে থাকে।
ভাবনার বিষয় হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও, মাইগ্রেন নিয়ে ভুল ধারণায় থাকে। ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকা এই ব্যাথার কারণে ক্লান্তি, বিরক্তি, ক্ষুধা অথবা দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাতের মতো লক্ষণ দিয়ে শুরু হয় মাইগ্রেন। অনেকের ক্ষেত্রে বমি বমি ভাব এবং আলো বা শব্দের প্রতি চরম সংবেদনশীলতা অনুভব করেন। তবে ব্যথা কমে যাওয়ার পরেও সুস্থ হতে অনেক সময় লাগতে পারে, যার ফলে মানুষ মানসিকভাবে অস্থির বা শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
তবে মাইগ্রেন হওয়ার নির্দিষ্ট কিছু কারণও আছে যেমন হরমোনের পরিবর্তন মানসিক চাপ, ঘুম, খাদ্যাভ্যাস এবং আবহাওয়ার পরিবর্তন। একটি সুষম খাদ্যাভ্যাস এতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনতে পারে। ম্যাগনেসিয়াম এবং ওমেগা-৩ এর মতো পুষ্টি উপাদান দৈনন্দিন রুটিনে থাকলে মাইগ্রেন থেকে সুরক্ষা পাওয়া যেতে পারে। মাইগ্রেন মানসিক স্বাস্থ্যের উপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে যার ফলে অনেকেই এ কারণে উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতায়ও ভুগে থাকেন।
তাই বারবার তীব্র ব্যাথা অথবা বমি বমি ভাব এর সাথে মাথাব্যথা হলে এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয় বরং প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া উচিত। যেমন-রুম অন্ধকার করে ঘুমানোর চেষ্টা করা প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করা। কারণ, প্রাথমিক রোগ নির্ণয়ের ফলে ভালো ফলাফলের পাশাপাশি মারাত্মক ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।