আম, একটি প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি ফল। ডায়াবেটিক রোগীদের সাধারণত এই সুস্বাদু ফলটি না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ, এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে নতুন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, আম পুরোপুরি খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়া জরুরি নয়।
বরং সঠিকভাবে খেলে এর উপকারও পাওয়া যেতে পারে।
গবেষণার ফলাফল কী বলছে?
ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের খাদ্যতালিকায় নিয়মিত আম রাখার প্রভাব পরীক্ষা করা হয়। আট সপ্তাহ ধরে অংশগ্রহণকারীদের প্রাতরাশে রুটির পরিবর্তে প্রতিদিন ২৫০ গ্রাম আম খেতে দেওয়া হয়। আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেছে, এতে তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এসেছে, ওজন ও কোমরের মাপ কমেছে, এমনকি গ্লাইসেমিক নিয়ন্ত্রণও উন্নত হয়েছে।
হৃদস্বাস্থ্যের দিক থেকেও উপকারী
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যারা রুটির বদলে আম খেয়েছেন, তাদের দেহে ভালো কোলেস্টেরল হিসেবে পরিচিত এইচডিএল (হাই-ডেনসিটি লাইপোপ্রোটিন) কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে। এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক।
তাহলে ডায়াবেটিক রোগীরা আম খেতে পারবেন?
হ্যাঁ, তবে শর্ত হলো— সঠিক পরিমাণে খেতে হবে। যদি এটি অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট বা ক্যালোরিযুক্ত খাবারের সঙ্গে খাওয়া হয়, তাহলে রক্তে শর্করা বাড়ার ঝুঁকি থাকে।
কিন্তু যদি আপনি এটি অন্য পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট (যেমন : সাদা রুটি) দিয়ে খান, তাহলে তা আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করে উপকারই করতে পারে।
আম একেবারে বাদ দেওয়ার মতো খাবার নয়, বরং সঠিক পরিমাণে ও পরিকল্পিতভাবে খাওয়া গেলে এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী হতে পারে। তবে যেকোনো পরিবর্তনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস