শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
Logo

পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও ক্লান্ত, যা করলে চাঙা হবে আপনার শরীর ও মন

Journalist Name

উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ

প্রকাশ: ১৮ আগস্ট ২০২৫, ০৬:৪০পিএম

পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও ক্লান্ত, যা করলে চাঙা হবে আপনার শরীর ও মন

অফিসের প্রচণ্ড ব্যস্ততায় তো বটেই— এমনকি ছুটির দিনেও ক্লান্ত লাগে সারাক্ষণ। অনেকের ঘুম থেকে ওঠার পরও সবচেয়ে বেশি ক্লান্তি ঘিরে ধরে। শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমে গেলেও অনেক সময় সারাক্ষণ ক্লান্ত লাগে। আর শরীরের ওপর একটানা ধকল গেলে সেই ক্লান্তি দূর করার জন্য দীর্ঘ বিশ্রাম কিংবা বিরতির প্রয়োজন হয়।

আপনি পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিচ্ছেন, কিন্তু কোনো কাজ হচ্ছে না। পর্যাপ্ত ঘুমিয়েও আপনার শরীরে ক্লান্তিভাব কাটছে না,  অলসতাও কাটছে না। দিন দিন আপনার উৎসাহ-উদ্দীপনাও হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকেই ভাবেন, সাপ্লিমেন্ট খেলেই বুঝি কাজ হবে। আসলে তা ঠিক নয়। এ বিষয়ে পুষ্টিবিদরা বলছেন— ডায়েট বদলে দেখুন। কাজ হবে খুব তাড়াতাড়ি। কারণ যা-ই হোক, ক্লান্তি দূর করতে খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলেই এ সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে। তবে কোন খাবারগুলো নিয়মিত খেলে ক্লান্তি দূর হয়ে চনমনে ভাব আসবে শরীরে, তা নিয়ম করে পালন করা উচিত।

চলুন জেনে নেওয়া যাক, কোন খাবার নিয়মিত খেলে আপনার শরীরের ক্লান্তি দূর হবে—

কলা

দ্রুত ক্লান্তি দূর করতে প্রতিদিন নিয়ম করে একটি কলা খান। কারণ কলায় আছে ফাইবার, পটাশিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট। এসব উপাদান একত্রে মিলে শরীরকে পুষ্টির পাশাপাশি শক্তিও জোগায়। কোনো ‘এনার্জি ড্রিংক’, ‘এনার্জি বুস্টার’ থেকে অনেক বেশি ভালো কলা। আর কলা প্রাকৃতিক উপায়ে শরীরকে শক্তি প্রদান করে থাকে। শরীরচর্চার আগে ও পরে কলা খেলে উপকার বেশি পাবেন।

কাঠবাদাম

কাঠবাদাম একটু দামি হলেও আপনার শরীরকে শক্তি জোগাতে দ্রুত কার্যকরণ ভূমিকা পালন করবেন। কারণ কাঠবাদামের জুড়ি মেলা ভার। সকালবেলা খালি পেটে ভেজানো বাদাম খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই আছে। ভিটামিন ই, ম্যাগনেশিয়াম এবং নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এই কাঠবাদাম শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। 

তবে যারা নিয়ম করে প্রতিদিন কাঠবাদাম রাখছেন, তারা আবার মুঠো মুঠো বাদাম খেয়ে ফেলবেন না। আপনার শরীরের জন্য প্রতিদিন ঠিক ক’টা বাদাম খেলে উপকার পাবেন, সেই হদিস একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে নেওয়াই ভালো। বেশি খেলে গ্যাস-অম্বল ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। কিডনির কোনো সমস্যা রয়েছে, এমন রোগীর ডায়েটেও কাঠবাদাম একেবারেই রাখা যাবে না।

ডিম 

ডিমের মতো সুষম খাবার আর দ্বিতীয়টি নেই। কারণ ডিমে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন এ। যে কুসুমকে আপনি অবজ্ঞা করে চলেন, সেই অংশটি খেলেও নানান উপকার মেলে। এতে থাকা ফ্যাট চটজলদি শরীরের ক্লান্তি ভাব দূর করে। ডিম খেলে শরীরের প্রয়োজনীয় প্রোটিন, ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতিও মিটে যায়। ফলে শরীর ভেতর থেকে তরতাজা হয়।

ডার্ক চকোলেট

ডার্ক চকোলেট স্বাদে একটু কড়া। কিন্তু ডার্ক চকোলেটে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের পরিমাণ বেশি থাকে। থিয়োব্রোমাইন নামক এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্টটি শরীরে শক্তির জোগান দেয়। ফলে স্নায়ু সজাগ রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া ডোপামিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণের হার বাড়িয়ে তোলে এই চকোলেট। ফলে মনমেজাজও চাঙা থাকে।