সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
Logo

এই সময়ে অ্যালার্জি এড়াতে যা খাবেন

Journalist Name

উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ

প্রকাশ: ২১ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫২পিএম

এই সময়ে অ্যালার্জি এড়াতে যা খাবেন

বর্ষাকাল শেষ হলেও বৃষ্টি এখনও রয়ে গেছে। এসময় অ্যালার্জির সমস্যা অনেকটা বেড়ে যেতে পারে। বাতাসের আর্দ্রতা, সেইসঙ্গে ভেজা কাপড় এবং জুতা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাল সংক্রমণের জন্য আদর্শ প্রজনন ক্ষেত্র। যা সর্দি এবং ফ্লু সৃষ্টি করে। উভয়ই হাঁপানির রোগীর জীবনে বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। উচ্চ আর্দ্রতার মাত্রা হজমকে ধীর করে দেয় এবং আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে দুর্বল করে দেয়। সঠিক খাবার খাওয়া এবং ক্ষতিকারক খাবার এড়িয়ে চলা সুস্থ থাকার জন্য জরুরি। এসময় কোন খাবারগুলো উপকারী হতে পারে, চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. মৌসুমি ফল

এসময়ে মৌসুমি ফল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে এবং ঋতু ও তার সঙ্গে আসা রোগগুলোর জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে পারে। এসময় পানি সমৃদ্ধ ফল এড়িয়ে চলুন কারণ এগুলো ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে।

২. স্যুপ এবং চা

চা এসময় খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। সবজি এবং ডালের স্যুপও উপকারী কারণ এগুলো শ্বাসযন্ত্রের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া উভয় পানীয়ই পেটের জন্য উপকারী এবং হাঁপানির জন্য সেরা। তাই অ্যালার্জি দূরে রাখতে নিয়মিত এ ধরনের খাবার খেতে হবে।

৩. বাটারমিল্ক এবং দই

বেশিরভাগ ডাক্তার খাবারে দুধের পরিবর্তে দই ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। দুধ সঠিকভাবে ফুটিয়ে না নিলে রোগজীবাণু থাকতে পারে, যেখানে দই এবং বাটারমিল্কে প্রোবায়োটিক ব্যাকটেরিয়া থাকে যা হজমে সহায়তা করে।

৪. তেতো খাবার

তেতো স্বাদের খাবার যেমন করলা, নিমপাতা, বথুয়া শাক, থানকুনি পাতা, ভেষজ চা ইত্যাদি বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এই খাবারগুলোতে ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থও বেশি থাকে, যা একজন ব্যক্তির সুস্থ এবং শক্তিশালী হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়। যেহেতু ঋতু পরিবর্তনের সময় অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বা অ্যালার্জিতে ভোগেন, তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এ ধরনের খাবার খাওয়া জরুরি।

৫. আদা এবং রসুন

প্রদাহ-বিরোধী, জীবাণুনাশক এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ছাড়াও আদা এবং রসুনের অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা জ্বর এবং ঠান্ডা লাগা উপশম করতে সাহায্য করে। আদা চা গলার অস্বস্তি দূর করতে সাহায্য করে। রসুন, যার অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল/অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বিভিন্ন খাবার তৈরিতে রসুন ব্যবহারের পাশাপাশি কাঁচা রসুনও খাওয়া যেতে পারে।