রান্না করতে গিয়ে যাতে সময় কম লাগে সেজন্য অনেক সময় গৃহিণীরা পেঁয়াজ-রসুন বা সবজি আগেই কেটে রাখেন। সময় বাঁচাতে আদা-রসুন বা পেঁয়াজ বাটাও আগে থেকে করে রাখা হয়। সবজি হোক বা বাটা মসলা, সব কিছু যদি সঠিক নিয়ম না মেনে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা হয় তাহলে ছত্রাকের সংক্রমণ ঘটতে পারে। সঠিক উপায়ে সবজি বা মসলা কিভাবে সংরক্ষণ করবেন, তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন।
চলুন, জেনে নেওয়া যাক—
কাটা পেঁয়াজ
কাটা পেঁয়াজ সরাসরি ফ্রিজে রাখা অনুচিত। এর ফলে এতে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ ঘটতে পারে। এ কারণে পেঁয়াজ কাটলে বা কুচিয়ে নিলে তা বায়ুরোধী কাচের পাত্রে বা প্লাস্টিক কন্টেইনারে ফ্রিজে রাখা উচিত। কাটা পেঁয়াজ তিন থেকে চার দিনের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়।
আদা-রসুন বাটা
আদা, রসুন বা পেঁয়াজ বাটা পরিষ্কার কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করতে হবে। এরপর তার ওপর কিছুটা তেল ছড়িয়ে রাখতে হবে। এতে বাটা মসলার ওপরে ছত্রাক জন্মাতে পারবে না। এই মসলা ফ্রিজে সাত দিনের বেশি না রাখাই ভালো। যদি আরো বেশিদিন সংরক্ষণ করতে হয়, তাহলে আইস ট্রে-তে মসলা রেখে তা জমিয়ে নিন। তারপর ফ্রিজার ব্যাগে সেই কিউব রেখে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
কাটা টমেটো
কুচানো টমেটো বায়ুরোধী কাচ বা বোরো সিলের পাত্রে ২-৩ দিনের বেশি না রাখাই ভালো।
কাঁচা মরিচ
মরিচ ভালো করে ধুয়ে ফ্যানের বাতাসে শুকিয়ে নিন। তারপর এগুলোর বোঁটা ছাড়িয়ে নিন। এবার কাচের পাত্রে বা বায়ুরোধী জিপলক ব্যাগে মরিচগুলো রেখে ফ্রিজে রেখে দিন। এইভাবে রাখলে দুই সপ্তাহ মরিচ ভালো থাকবে।
কাটা গাজর
অনেকেই গাজর বা বিন্স কেটে রাখেন। সেক্ষেত্রে কাচের পাত্রে পানি রেখে তাতে গাজরের টুকরোগুলো রাখতে পারেন। বায়ুরোধী পাত্রে এইভাবে ৫-৬ দিন পর্যন্ত গাজর ভালো থাকবে।
ধনেপাতা, কারিপাতা
বাজার থেকে কিনে এনেই একটি পাত্রে ঠাণ্ডা পানিতে ধনেপাতা বা কারিপাতাগুলোকে রেখে দিন। তারপর ভালো করে ধুয়ে শুকিয়ে নিন। যদি শিকড়ের অংশ কেটে দিতে পারেন তাহলে পাতা হলুদ হবে না। এবার সেগুলো বায়ুরোধী জিপলক ব্যাগে ভরে রাখুন।
এভাবে পেঁয়াজ-রসুন বা বিভিন্ন সবজি সংরক্ষণ করলে এগুলোতে ছত্রাক পড়বে না। খেতেও ভালো লাগবে। তবে সব সময় তাৎক্ষণিকভাবেই এসব সবজি বা পেঁয়াজ-রসুন কাটা উচিত। তাহলে ছত্রাকে পড়ার ভয় থাকবে না।