অনেকেরই ত্বকে ছোট, লাল দাগ বা তিল দেখা যায়। এগুলো প্রায়ই উদ্বেগ সৃষ্টি করে। কেউ কেউ ভেবে থাকেন এগুলো যকৃতের সমস্যা বা ক্যান্সারের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে। কেউ কেউ ভাবেন এগুলো গুরুতর কিছু সংকেত দিতে পারে।
এই লাল দাগগুলো আসলে কী
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই লাল দাগগুলোকে বলা হয় চেরি অ্যাঞ্জিওমা। এগুলো আসলে যকৃতের ক্ষতি, কিডনির দুর্বলতা বা ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়। এটি একটি সাধারণ ভুল ধারণা।
চেরি অ্যাঞ্জিওমা হলো ত্বকের উপরিভাগে গঠিত ছোট, স্নায়ুসুলভ বৃদ্ধি।
এগুলো সাধারণত ৩০ বছরের ওপরে মানুষের মধ্যে বেশি দেখা যায় এবং এটি ছোট রক্তনালির বৃদ্ধির কারণে হয়। এগুলো পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই হতে পারে এবং সাধারণত ক্ষতিকারক নয়।
একটি পরিচিত কারণ হলো হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, বিশেষ করে ইস্ট্রোজেন হরমোনের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই গর্ভাবস্থায় এই লাল দাগগুলো বেশি দেখা যায়, যখন হরমোনাল পরিবর্তন সর্বোচ্চ থাকে।
চিকিৎসকরা আশ্বস্ত করেছেন যে, এগুলো দেখা দিলে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তবে, হঠাৎ এটির সংখ্যা বা আকার বেড়ে গেলে, অথবা আকার বা রং পরিবর্তন হলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যেহেতু এগুলো ত্বকের বাইরের স্তরে থাকে, প্রয়োজনে এগুলো সরানো সাধারণত সহজ।
অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা গুরুত্বপূর্ণ। খিদের সময় এক গ্লাস পানি পান করলে অতিরিক্ত খাওয়া বা ক্রেভিং কমাতে সাহায্য করে।
এ ছাড়া যদি আপনার অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্য, বিশেষ করে যকৃত নিয়ে উদ্বেগ থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করা জরুরি। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে চিনি কম খাওয়া, বেশি শাক-সবজি খাওয়া, পর্যাপ্ত পানি পান করা, সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্য পাতে রাখা এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রাকৃতিক যকৃত ডিটক্স অপশন বিবেচনা করা।
চেরি অ্যাঞ্জিওমা হলো এক ধরনের সাধারণ ত্বকের বৃদ্ধি, যা স্বাভাবিক জীবনযাপনের কোনো বড় ঝুঁকি তৈরি করে না। সঠিক সচেতনতা এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তাই এই ছোট লাল দাগগুলোকে অপ্রয়োজনীয় ভয় বা উদ্বেগের কারণ হিসেবে না দেখাই ভালো।