সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫
Logo

গরু নাকি মহিষের দুধ, কিসের তৈরি ঘি বেশি উপকারী?

Journalist Name

উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৫পিএম

গরু নাকি মহিষের দুধ, কিসের তৈরি ঘি বেশি উপকারী?

আমাদের রান্নাঘরে যেসব উপাদান সব সময় পাওয়া যায়, তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘি। গরম ভাতে একটু ঘি হলে, আর কী লাগে। তা ছাড়া ঘিয়ে ভাজা পরোটা, হালুয়া বা খিচুড়ির স্বাদ তো অনন্য। তরকারির স্বাদ বাড়াতেও এই উপাদানের জবাব নেই।

শুধু কি খাবারের স্বাদ বাড়ানো? এই দুগ্ধ উপাদানটির রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যগুণও। প্রাকৃতিক পুষ্টি ও ভিটামিনে ভরপুর ঘি ত্বককে করে তোলে আর্দ্র ও পুষ্ট। শীতকালে ত্বক ও ঠোঁট ফাটলেও সেখানে ঘি লাগালে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। ত্বকের দাগছোপ দূর করে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।

ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও গুড ফ্যাট। ঘি যত খাঁটি, তার উপকারীতাও তত বেশি। কেউ পছন্দ করেন গরুর দুধের ঘি, আবার কেউ পছন্দ করেন মহিষের দুধের ঘি। তবে, ত্বকের যত্নে কোনটা বেশি উপকারী? চলুন, জেনে নেওয়া যাক—

গরুর দুধের ঘি

গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি-তে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই।

যা ত্বকের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বককে ফ্রি-র‍্যাডিকালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।

মহিষের দুধের তুলনায় এতে ফ্যাটের পরিমাণ কম। তাই ত্বকে লাগালে হালকা লাগে, অস্বস্তি কম হয়। সহজে টেনে নেয়।

শুষ্ক ত্বকের জন্য তাই এটি বেশ উপকারী। চামড়া উঠলে বা এগজিমার মতো সমস্যা থাকলেও অত্যন্ত উপকারী গরুর দুধের ঘি।

মহিষের দুধের ঘি

মহিষের দুধ থেকে তৈরি ঘি গরুর দুধের তুলনায় অপেক্ষাকৃত অনেকটা ঘন হয়। এতে ক্রিমের ভাগ বেশি থাকে। শুষ্ক ত্বকের জন্য গভীরে ময়েশ্চারাইজাইং করতে দারুণ উপযোগী এই ঘি। তবে এতে ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে ত্বকে লাগালে ভারী মনে হয়, অস্বস্তি হতে পারে।

যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে বা তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য মহিষের ঘি উপযুক্ত নয়। মহিষের ঘি রোমছিদ্র বন্ধ করে দিয়ে ব্রণ বাড়ার কারণ হতে পারে। এতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে, যা ত্বকে প্রাকৃতিক জেল্লা এনে দেয়।

কোন ঘি ত্বকের জন্য বেশি ভালো?

ত্বকের যত্নে নিরাপদ গরুর দুধের ঘি। এর হালকা গঠন ত্বকে সহজে মিশে যায় এবং সব ধরনের ত্বকের জন্য উপযোগী। মহিষের ঘি ভারী হওয়ায় তা তৈলাক্ত বা সংবেদনশীল ত্বকের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই শীতকালে ত্বকের পুষ্টি ও উজ্জ্বলতা ধরে রাখতে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে গরুর ঘি ব্যবহার করাই যেতে পারে। অবশ্য তৈলাক্ত ত্বক না হলে মহিষের ঘি ব্যবহার করতে পারেন।