এ সপ্তাহে রাতের আকাশে দেখা মিলবে বছরের সবচেয়ে বড় ও উজ্জ্বল চাঁদ বা সুপারমুন। মহাজাগতিক সৌন্দর্যের সেই বিশেষ পূর্ণিমা হচ্ছে সুপারমুন। ২০২৫ সালের তিনটি পরপর সুপারমুনের মধ্যে দ্বিতীয়টি দেখা যাবে আজ। এদিন যুক্তরাজ্যে উদযাপিত হবে ঐতিহ্যবাহী ‘বনফায়ার নাইট’। তাই এ রাতটি হবে আলো, ঝলক ও রঙের মায়াবী সমাহার।
চাঁদ যখন নিজের কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে আসে, সেই সময় পূর্ণিমা হয়। আর ওই সময় চাঁদ সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বড় আর ঝলমলে দেখায়। ফলে এ সপ্তাহের রাতগুলো হবে একটু বেশি আলো ঝলমলে ও মোহনীয়।
এই মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে চাইলে আবহাওয়া পরিষ্কার থাকাই মুখ্য। তাই আকাশ কোথায় স্বচ্ছ থাকবে, তা জানতে আবহাওয়া রিপোর্টে নজর রাখা দরকার, যাতে চাঁদ দেখার জন্য সেরা স্থান বেছে নেওয়া যায়।
চাঁদ পৃথিবীকে একদম বৃত্তাকার পথে আবর্তন করে না। চাঁদের কক্ষপথ কিছুটা ডিম্বাকৃতি বা উপবৃত্তাকার। সে কারণে কখনো চাঁদ পৃথিবীর কাছাকাছি আসে (পেরিজি), আবার কখনো দূরে সরে যায় (অ্যাপোজি)। পেরিজিতে চাঁদ পৃথিবী থেকে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মাইল দূরে থাকে, আর অ্যাপোজিতে এই দূরত্ব প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মাইল।
সবচেয়ে বড় সুপারমুন দেখা যাবে আজ
আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া নয়, বিশ্বের সবচেয়ে দামি পর্যটন ভিসা ছোট্ট এক দেশের
চাঁদ যদি পূর্ণিমার সময় পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে থাকে বা পেরিজির ৯০ শতাংশ কাছাকাছি থাকে, তাকে বলে ‘সুপারমুন’। এ সময় আকাশে চাঁদ সাধারণ পূর্ণিমার চেয়ে বড় ও উজ্জ্বল দেখায়।
১৯৭৯ সালে জ্যোতিষী রিচার্ড নোল প্রথম এই ‘সুপারমুন’ শব্দটি ব্যবহার করেন। যখন পূর্ণিমা চাঁদ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছে অবস্থান করে। ফলে তা সাধারণ পূর্ণিমার চেয়ে বড় ও উজ্জ্বল হয়।
নভেম্বরের এই সুপারমুনকে বলা হচ্ছে বিভার মুন। বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন সংস্কৃতি, বিশেষত উত্তর আমেরিকার আদিবাসী গোত্র ও প্রাচীন ইউরোপীয়দের মধ্যে এ নামের ব্যবহার রয়েছে। কারণ, নভেম্বরেই বিভাররা শীতের প্রস্তুতি হিসেবে বাঁধ তৈরি ও খাদ্য সংগ্রহে সবচেয়ে ব্যস্ত থাকে। এমনকি ১৬০০ শতকে যুক্তরাজ্যে বিভার শিকারের প্রচলন ছিল, যার ফলে সেগুলো দেশের প্রকৃতি থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এ বছরের শেষ সুপারমুন দেখা যাবে ৪ ডিসেম্বর।