শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
Logo

সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জিতে কষ্ট, কোন ফলের রস খেলে মিলবে উপকার

Journalist Name

উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৩৯পিএম

সর্দি-কাশি ও অ্যালার্জিতে কষ্ট, কোন ফলের রস খেলে মিলবে উপকার

শীত এলেই সর্দি-কাশি আর অ্যালার্জির সমস্যা বেড়ে যায়। এতে শুধু ওষুধ খেলেও কমতে চায় না। আর অ্যালার্জির সঙ্গে আপস করা যায় না কোনোভাবেই। যারা ভুক্তভোগী, তারা জানেন— কতটা মারাত্মক হতে পারে অ্যালার্জি। খাদ্যনালি, শ্বাসনালি বা চোখের মতো স্পর্শকাতর জায়গায় হলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। বিশেষ করে ‘অ্যালার্জিক রাইনাইটিস’ হলে তো অবস্থা আরও গুরুতর। যাদের এ সমস্যা আছে, তারা লাগাতার সর্দি-কাশির সমস্যায় ভুগে থাকেন।

এ বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, কেবল ওষুধ খেয়েই সমস্যার সমাধান হবে না। বরং নিয়মিত কয়েক রকম ফলের রস খেলে মিলবে উপকার। সর্দি-কাশি বা অ্যালার্জির মতো সমস্যা থাকলে খুব কার্যকরী হতে পারে আনারসের রস। আনারসে ব্রোমালেইন নামক এমন একটি উপাদান আছে, যা মিউকাসের ক্ষরণ বন্ধ করতে পারে। গলাব্যথা বা গলায় সংক্রমণ হলেও আনারসের রস কাজে আসতে পারে। তা ছাড়া আনারসে আছে ভিটামিন সি, যা ঠান্ডা লাগার ধাত কমায়। শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে একটুতেই সর্দি-কাশি কিংবা জ্বর বাঁধিয়ে বসার ভাবনা থাকে না।

আবার আনারস ছাড়াও মুসাম্বির রসও উপকারী। মুসাম্বি লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্ল্যাভোনয়েড। সে কারণে হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে দারুণ সাহায্য করে এ উপাদান। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আপনার রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সংক্রমণজনিত অসুখ থেকেও সুরক্ষা দিতে পারে মুসাম্বি। আর এতে থাকে অ্যান্টি-হিস্টামিন, যা অ্যালার্জিক রাইনাইটিসের প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে।

চিকিৎসকরা বলেন, রাইনাইটিস থাকলে ঠান্ডা লাগানো যাবে না কোনোভাবেই। ঠান্ডা লেগে গেলেই লাগাতার হাঁচি শুরু হবে। সর্দি-কাশি কমতেই চাইবে না। সেই সঙ্গে চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকবে এবং চোখ ফুলে লাল হয়ে যাবে। চোখে-নাকের চারপাশে চুলকানিও হবে। 

আবার অ্যালার্জিক রাইনাইটিস থেকে ত্বকের অ্যালার্জিও হয় অনেকের। ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যাওয়া, চুলকানি, খসখসে হয়ে যাওয়া এবং ফোস্কা পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, যাকে ‘অ্যাটোপিক ডার্মাটাইটিস’ বলে। তাই ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট আছে এমন খাবারই খেতে হবে।