শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫
Logo

চুলের সিঁথি কেন বদলাবেন

Journalist Name

উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ

প্রকাশ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৫পিএম

চুলের সিঁথি কেন বদলাবেন

নিয়মিত সিঁথি পালটানোর বেশ কিছু ভালো দিক রয়েছে। যেমন চুল গোড়া থেকে শ্বাস নিতে পারে পাশাপাশি আপনার লুকটাও বদলে যাবে। সপ্তাহে এক দিন কয়েক মিলিমিটার করে সিঁথি এদিক সেদিক সরিয়ে নিলেই উপকার মিলবে। সিঁথি বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে নিয়মিত চুলের যত্নও নিন।

একই জায়গায় সিঁথি করতে থাকলে চিরুনির ডগার রোজকার চাপে সেই জায়গা থেকে চুল পড়ে বেশি। সিঁথি চওড়া হয়ে যায়। তাই সিঁথি পরিবর্তনে শুধু সাজে ভিন্নতা আসে তা নয়, এর আছে আরো নানা উপকারিতা।

সিঁথি পরিবর্তন করলে চুল পড়ার হারও কমে।

চুলে পাক ধরা বা ভঙ্গুর হয়ে পড়ার জন্য দায়ী ধুলাবালি, ধোঁয়া, দূষিত পানি, অতিবেগুনি রশ্মি, হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার স্ট্রেটনারের ব্যবহার। সব সময় চুলের একই সিঁথি করলে রোদ, দূষণ ইত্যাদি মাথার এক জায়গাতেই ক্রমাগত প্রভাব ফেলতে থাকে। এতে চুলের ফলিকলগুলো নষ্ট হয়ে যায়। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।

চুল পড়া বৃদ্ধি পেলে সবার আগে সিঁথির আশপাশের চুল পাতলা হয়ে আসে। ত্বকে দ্রুত বয়সের ছাপ ফেলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি। সিঁথি পরিবর্তন করলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি একই জায়গায় বারবার আঘাত করতে পারে না। এ ছাড়া সিঁথির আশপাশের চুলগুলোতে আগে পাক ধরে। চুলের সিঁথি কিছুদিন পর পর বদল করে এই ক্ষতি কমিয়ে আনা যায়।

সিঁথি হতে পারে মাথার মাঝে কিংবা এক পাশে। হতে পারে সোজা কিংবা আঁকাবাঁকা। যেমন সিঁথিই আপনার পছন্দ হোক, দীর্ঘদিন সেটি একইভাবে রেখে দেবেন না। নইলে এক জায়গায় সিঁথি স্থায়ী হয়ে যাবে। চওড়া হয়ে গেলে সেই সিঁথি ভালো দেখায় না। 

মাঝেমধ্যে উল্টো করে চুল আঁচড়াতে পারেন। পনিটেইল বা নানা রকম ‘বান’ করে চুল আটকে রাখতে পারেন। পাঞ্চ ক্লিপ, খোঁপার কাঠি বা কাঁটাও কাজে লাগাতে পারেন।