শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমাদের রান্নায় আদা ও রসুন ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এগুলো শুধু স্বাদের জন্যই নয়, স্বাস্থ্যগত উপকারিতার জন্যও পরিচিত। রসুনে থাকা অ্যালিসিন নামক যৌগ রসুনকে তার তীব্র সুগন্ধ ও স্বাস্থ্য উপকারিতা দেয়। সেজন্য শতাব্দী ধরে এটি আয়ুর্বেদেও ব্যবহার হয়ে আসছে।
রসুনে থাকা অ্যালিসিন আমাদের বিভিন্ন সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে, প্রদাহ কমায় এবং হৃদরোগের স্বাস্থ্য উন্নত করে। সবাই খাবারে প্রচুর পরিমাণে রসুন রাখেন অনেকে। কিন্তু এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে রসুন সবার জন্য উপকারী নয়। অতিরিক্ত পরিমাণে রসুন খেলে কারো কারো সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
যারা রক্ত পাতলা করার ওষুধ খাচ্ছেন
রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে রসুন। কেউ যদি ওয়ারফারিন বা অ্যাসপিরিনের মতো ওষুধ গ্রহণ করেন, তাহলে অতিরিক্ত রসুন খেলে তাদের রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়তে পারে, বিশেষ করে অস্ত্রোপচারের আগে বা পরে। তাই, রসুন খাওয়ার আগে সাবধান থাকুন।
এসিডিটি বা বুকজ্বালায়
যদি এসিডিটি বা জিইআরডি থাকে, তাহলে রসুন আরো খারাপ করতে পারে।
এটি পেশি শিথিল করে, যা পেটের এসিড গলায় প্রবাহিত হতে বাধা দেয়। যার ফলে বুকজ্বালা হয়।
পেটের সমস্যায়
রসুনে ফ্রুকটান নামক কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটি কারো কারো পেট সঠিকভাবে হজম করতে পারে না। এর ফলে গ্যাস, পেট ফাঁপা বা পেট ব্যথা হতে পারে।
বিশেষ করে আইবিএস (ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম) আক্রান্ত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হতে পারে।
রসুনে অ্যালার্জি
কিছু মানুষের রসুনে অ্যালার্জি থাকে। যদি রসুনের অ্যালার্জি থাকে, তাহলে মুখে চুলকানি, বমি বমি ভাব, ত্বকে ফুসকুড়ি, অথবা গুরুতর ক্ষেত্রে, এটি খাওয়ার পরে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে পারে।
গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারী
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য অল্প পরিমাণে রসুন খাওয়া ঠিক আছে। কিন্তু অতিরিক্ত দুধ খাওয়ানোর ফলে জরায়ু সংকোচন হতে পারে বা দুধের স্বাদ পরিবর্তন হতে পারে। যার ফলে শিশু দুধ নাও খেতে পারে।