শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫
Logo

রান্নায় অতিরিক্ত লাল মরিচের গুঁড়া মেশান? বিপদ ডেকে আনছেন না তো

Journalist Name

উত্তরভূমি বার্তাকক্ষ

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৭পিএম

রান্নায় অতিরিক্ত লাল মরিচের গুঁড়া মেশান? বিপদ ডেকে আনছেন না তো

রান্নার স্বাদ বাড়াতে মসলার ব্যবহার অনেক আগের। ভারতীয় উপমহাদেশে মসলার ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। সে জন্য রান্নায় অনেকে মরিচের গুঁড়া বেশি মেশান। ঝোল-তরকারি তো বটেই, এমনকি সালাদ কিংবা কাটা ফলও মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে খান অনেকে।

কিন্তু জানেন কি, এই লালচে ঝাঁজই ধীরে ধীরে শরীরের জন্য বিষ হয়ে উঠতে পারে? সাম্প্রতিক গবেষণায় এমনটাই জানা গেছে। অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া খাওয়ার ফলে পাকস্থলির জ্বালা, ডায়রিয়া, বুকজ্বালা এমনকি ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়তে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মরিচের গুঁড়ায় থাকা এক ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ক্যাপসাইসিনই স্বাদ ও ঝাঁজের মূল কারণ। সীমিত পরিমাণে এটি রক্তসঞ্চালন বাড়ায় এবং বিপাকক্রিয়ায় সহায়তা করে।

কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলে এই উপাদানটি পাকস্থলির ভেতরে প্রদাহের সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলেই দেখা দিতে পারে অম্বল, আলসার, গ্যাস ও বুকজ্বালার মতো সমস্যা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিনের খাবারে অতিরিক্ত মরিচের গুঁড়া ব্যবহার করলে গ্যাস্ট্রিক, ক্যান্সার, ইসোফ্যাজিয়াল (খাদ্যনালির) ক্যান্সার ও লিভার ক্ষতির আশঙ্কাও বাড়ে। বিশেষ করে যাদের দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিক বা এসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য মচিচের গুঁড়া হতে পারে আরো বিপজ্জনক।

শুধু অভ্যন্তরীণ ক্ষতিই নয়, অতিরিক্ত লাল মসলার গুঁড়া ত্বকেও প্রভাব ফেলতে পারে। রান্নার সময় ধুলা চোখে বা মুখে লাগলে দেখা দিতে পারে জ্বালা, চুলকানি ও লালচে র‌্যাশ। সংবেদনশীল ত্বকের মানুষের ক্ষেত্রে এই প্রতিক্রিয়া আরো তীব্র হয়।

চিকিৎসকরা বলছেন, হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ বা ব্লিডিং ডিস-অর্ডারের রোগীদেরও এর থেকে সাবধান থাকা উচিত। কারণ ক্যাপসাইসিন কখনো কখনো রক্তজমাট বাঁধার প্রক্রিয়ায় বাধা দেয়, যা অপারেশনের সময় বিপজ্জনক হতে পারে।

তবে সীমিত পরিমাণে মরিচের গুঁড়া খেতে পারেন। গবেষণা বলছে, সামান্য পরিমাণ এই মসলা বিপাকক্রিয়া বাড়ায় এবং ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় শরীর উষ্ণ রাখে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, রান্নায় স্বাদ বাড়াতে মরিচ ব্যবহার করুন, কিন্তু মাত্রার বাইরে নয়। কারণ অতিরিক্ত ঝাঁজ যেমন জিভে লাগে, তেমনি শরীরেও তীব্র প্রভাব পড়ে। তাই মরিচের গুঁড়া ব্যবহারের সময় সতর্ক থাকুন।