ইদানীং পুষ্টিবিদদের মধ্যে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ নিয়ে আগ্রহ বেড়েছে। কাঁচকলায় প্রচুর পরিমাণে রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ ও উপকারী ফাইবার ‘পেকটিন’ পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞ রায়ান ফার্নান্দো জানাচ্ছেন, নিয়মিত অল্প পরিমাণে সেদ্ধ কাঁচকলা ভাতের সঙ্গে খেলে শরীরে এর নানা ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। চলুন, জেনে নিই।
পেটের স্বাস্থ্য
কাঁচকলায় থাকা ফাইবার অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার খাদ্য হিসেবে কাজ করে। ফলে অন্ত্র থাকে পরিষ্কার, হজম প্রক্রিয়া ভালো হয় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস ও পেট ফাঁপার সমস্যা কমে।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
উচ্চ ফাইবারযুক্ত কাঁচকলা সেদ্ধ খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা থাকে। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ
কাঁচকলার রেজিস্ট্যান্ট স্টার্চ রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়তে দেয় না। এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, তাই এটি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্যও উপকারী।
হৃদস্বাস্থ্য
কাঁচকলায় থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও হৃদ্পেশিকে সক্রিয় রাখে। এ ছাড়া এটি কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদ্রোগের ঝুঁকি হ্রাসে সাহায্য করে।
ভিটামিন ও খনিজ
কাঁচকলায় রয়েছে ভিটামিন বি-৬, ভিটামিন সি, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান। এগুলো হিমোগ্লোবিন তৈরি, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
সেদ্ধ কাঁচকলা সহজে হজম হয়, তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া ঠিক নয়। বেশি খেলে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে গ্যাস বা পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দিতে পারে।